৭ তারিখে ফাইনাল খেলা হবে : কাদের

বিএনপিবিহীন নির্বাচনেও খেলা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে। আগামী ৭ তারিখে ফাইনাল খেলা হবে। ছাড়াছাড়ি নাই। বিএনপি নাই, বিএনপি ভুয়া। তাদের এক দফা ভুয়া। ২৮ তারিখে লাল কার্ড খেয়ে বিএনপি বিদায় নিয়েছে। নেতা নাই, বিএনপির নেতা নাই। আন্দোলন করবে কাকে দিয়ে? নির্বাচন করবে কাকে দিয়ে?

বিএনপির ২১ হাজার নেতাকর্মীর কারাগারে থাকার দাবি ‘ভুয়া’ উল্লেখ করে কাদের বলেন, এ সংখ্যা হবে ১১ হাজার, যাদের মধ্যে দুই হাজার ছাড়া পাওয়ার প্রক্রিয়ায়। তারা (বিএনপি) বলে ২১ হাজার নাকি জেলে আছে। আমি পুরোপুরি খবর নিয়ে চ্যালেঞ্জ করছি, জেলে আছে ১১ হাজার। ১১ হাজারের মধ্যে আজকে জামিন পেয়ে দুই হাজার বের হয়ে যাচ্ছে। আর আছে ৯ হাজার। ২১ হাজার ভুয়া, বিএনপি ভুয়া। খবর বিডিনিউজের।

বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গতকাল দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।

রমনায় সমাবেশে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে দাবি করে কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১ হাজার ৮৯৬ জন, দল আছে ২৭টা। তাহলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, কে বলেছে? যারা বলে তারা ভুয়া। টিআইবি, সুজন, বদরুদ্দোজা ভুয়া। এগুলো সব বিএনপির দোসর। জনগণ তৈরি হয়ে আছে শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দেওয়ার জন্য। বিদেশিরা বলেছে, ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আগামী ৭ তারিখ নৌকা জিতবে।

তিনি বলেন, অন্ধকার থেকে বক্তৃতা দেয়, ছবি তুলে। কুয়াশার মধ্যে ১০–১২ জন গিয়ে মিছিল করে। এটা বুঝি আন্দোলন। তারা হাঁটুভাঙা, কোমরভাঙাদের নিয়ে ঐক্যজোট করেছে। এটা জগাখিচুরি ঐক্যজোট, তারা ভুয়া। এ সময় তিনি ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন।

ট্রেনে আগুন দিয়ে যারা নাশকতা করেছে, তাদের ক্ষমা নেই মন্তব্য করে কাদের বলেন, আজকে সকালে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে মা শিশুসহ চারটি তাজা প্রাণকে কেড়ে নিল তারা। এই দৃশ্য গাজায় ইসরায়েলের যে হত্যাকাণ্ড, যে গণহত্যা, শিশু হত্যা, নারী হত্যা, সেই একই দৃশ্য আজ বাংলাদেশে। মায়ের কোলের শিশুকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ক্ষমা নাই। তাদের আন্দোলন নাশকতা ও মানুষ পোড়ানোর আন্দোলন।